পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে টানাপোড়েন , বিক্ষোভ বর্ধমান জংশন স্টেশনে

22nd May 2020 বর্ধমান
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে টানাপোড়েন , বিক্ষোভ বর্ধমান জংশন স্টেশনে


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) : পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা শ্রমিক স্পেশালের যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল বর্ধমান জংশন স্টেশন ।নদীয়া ;বীরভূম ; মূর্শিদাবাদের যাত্রীরা কোথায় নামবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলে। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় দাড়িয়ে থাকে ট্রেন।কয়েকদিন আগে মুম্বাইয়ের থানে থেকে প্রায় ১৭০০ যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছাড়ে। পথে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন বলে তাদের অভিযোগ। এদিন সকালে ট্রেনটি বর্ধমানে এলে বর্ধমানে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি। এরপর ডানকুনি নিয়ে চারঘণ্টা দাড় করিয়ে রাখা হয়। ট্রেনটিকে ফিরিয়ে আনা হয় বর্ধমান স্টেশনে। সেখানে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার যাত্রীদের নামানো হয়।কিন্তু ক্ষুধার্ত অসহায় যাত্রীরা নেমে পড়েন। সবচেয়ে অসুবিধার মধ্যে পড়েন নদীয়া বাকুড়া পুরুলিয়ার যাত্রীরা। তারা কোথায় যাবেন কীভাবে যাবেন কিছুই ঠিক নেই। রেল ও রাজ্য প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাব প্রকট হয়ে পড়ে। শিশু ও মহিলাসহ প্রায় সাড়ে তিনশো মানুষ নেমে পড়েন।ওদিকে তাদের কোনো ব্যবস্থাও নেই। তারা বারবার বিক্ষোভ দেখান। ইতিমধ্যে ভারত স্কাউট এন্ড গাইডের স্বেচ্চচ্ছাসেবী বাহিনী তাদের জল ও টিফিন বিতরণ করেন।সংবাদমাধ্যেমের হস্তক্ষেপে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। নদীয়া বাকুড়া পুরুলিয়ার যাত্রীদের বর্ধমানেই নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়ে।জানা গেছে তাদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে।সেখানে পূর্ব পশ্চিম বর্ধমানের যাত্রীরাও আছেন।তাদের সোয়্যাব টেস্ট করা হবে। সেখান থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন। নদীয়া মূর্শিদাবাদ মালদা সহ বাকি যাত্রীদের নিয়ে ট্রেন কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় একঘন্টা পরে। হাফ ছেড়ে বাঁচে রেল প্রশাসন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।